Facebook

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

উৎসর্গ


আকাশ জুড়ে বৃষ্টি আর বৃষ্টি ভেজা মন,
মন বলে ভাল থাকুক আমার আপন জন।
নীল রঙ্গের আকাশ এখন মেঘে ঢাকা কালো
আমি আছি ভালো, বন্ধু তুমি কেমন আছো ?
সারাক্ষন ভালো থেকো ভালবাসা মনে রেখ,
দিনের বেলায় হাসি মুখে,
রাতের বেলায় অনেক সুখে......
নানা রঙের স্বপ্ন দেখ, স্বপ্নের মাঝে আমায় রেখ......

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

যখন পরবেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে...



যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি    বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে, চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা, বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে--তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
   
যখন    জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়,   আহা,
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের   পরবে সজ্জা বনবাসের, শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায়--তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে। তখন   এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে,কাটবে দিন কাটবে,কাটবে গো দিন আজও যেমন দিন কাটে,    আহা,ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী   এমনি সে দিন উঠবে ভরি-চরবে গোরু খেলবে রাখাল ওই মাঠে। তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে, তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
   
তখন   কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি। সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি-- আহা, নতুন নামে ডাকবে মোরে,   বাঁধবে নতুন বাহু-ডোরে, আসব যাব চিরদিনের সেই আমি। তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে॥

শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৩

যখন আমি ছোট ছিলাম

ছেলেবেলায় ভাবতাম চাঁদটা বুঝি আমার সাথে সাথে যাচ্ছে। বন্ধুদের সাথে মারপিট করার সময় মুখ দিয়ে টিগিস,টিগিস ইয়ালি বিডিমস, ইত্যাদি শব্দ করতাম। ক্রিকেট খেলার সময় সবার আগে ব্যাট করতে চাইতাম, যদি আউট হয়ে যাই , তাহলে নতুন করে আবার ব্যাট করার জন্য আবেদন করতাম। ফল খেতে গিয়ে ফলের বিচি খেলে ফেললে ভাবতাম, পেটের ভিতর বুঝি গাছ বেরুবে।শান পাপড়ি,তালের খাজা, মালাই বরফ বা বাদাম ভাজা জাতীয় কিছু আসলে মাথা হাং হয়ে যেত। প্লেন বা হেলিকাপ্টারের আওয়াজ শুনে সেটা দেখার জন্য আকাশ পানে চেয়ে রইতাম। গোসল করিয়ে দেবার সময় মুখে সাবান দিতে দিতাম না চোখ জ্বলার ভয়ে। স্কুলে যাবার সময় কলমের হেড চাবাতে কতইনা ভাল লাগত।
যখন পড়াশুনা করতাম না তখন আমার বাবা মাঠে গরুর ঘাস কাটতে জাবার কথা বলতেন।

আমি জানিনা পথ ও পথের দূরত্ব , জানিনা বরফ ঢাকা নদীর ঘনত্ব, শুধু এতুতুকু জানি, গন্তব্বের স্থান যত দুরেই হোক দিতে হবে পাড়ি।

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

খোকা কি আসবে?


“কুমড়ো ফুলে ফুলেনুয়ে পরেছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায়ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি,
খোকা তুই কবে আসবি ?
কবে ছুটি?”
চিঠিটা তার পকেটে ছিল,ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।

“মাগো, ওরা বলে সবার কথা কেড়ে নেবে।
তোমার কোলে শুয়ে,গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা,তাই কি হয়?
তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।
তোমার জন্যে কথার ঝুরি নিয়ে
তবেই না বাড়ি ফিরবো।

ল‍হ্মী মা,রাগ ক’রো না,
মাত্রতো আর ক’টা দিন।”
“পাগল ছেলে,”মা পড়ে আর হাসে,
“তোর ওপরে রাগ ক’রতে পারি !”
নারিকেলের চিড়ে কোটে,উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে,
এটা-সেটা,আর কত কী !
তার খোকা যে বাড়ি ফিরবে 
ক্লান্ত খোকা।
কুমড়ো ফুল শুকিয়ে গেছে,
ঝ'রে পড়েছে ডাঁটা,পুঁই লতাটা নেতানো
“খোকা এলি ?”
ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠানে উঠানে যেখানে খোকার শব
শকুনীরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন
মা’র চোখে চৈত্রের রোদ,পুরিয়ে দেয় শকুনীদের।
তারপর
দাওয়ায় ব’সে মা আবার ধান ভানে,
বিন্নি ধানের খই ভাজে,
খোকা তার কখন আসে কখন আসে!

এখন
মা’র চোখে শিশির-ভোর
স্নেহের রোদে ভিটে ভ’রেছে।

শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৩

এক পকেটমার এর গল্প

                     বাস থেকে নেমে পকেটে হাত দিয়ে সাথে সাথে শক খেলাম ..


আমার পকেটমার হয়ে গেছে.!! পকেটে ছিলই বা কি? সব মিলিয়ে ২০০ টাকা!! আর
একটা চিঠি যা আমি মাকে লিখেছিলাম যে আমার চাকরি চলে গেছে এখন টাকা পাঠাতে পারবনা। সেই পোস্টকার্ড নিয়ে ঘুরছিলাম কিন্তু কেন যেন পাঠাতে ইচ্ছা করছিলোনা!!

এমনিতে তো ২০০ টাকা খুব বেশি টাকা না কিন্তু যার চাকরি চলে গেছে তার কাছে একটু বেশিই!!

কিছুদিন পর মার একটা চিঠি পেলাম!! নিশ্চয় টাকা পাঠানোর জন্য হবে!! কিন্তু চিঠি পড়ে আমি একটা ধাক্কা খেলাম মা লিখেছে "বাবা তুই যে ৫০০ টাকার মানিঅর্ডার পাঠাইছিস সেটা পাইছি!!" আমি চিন্তা করতে লাগলাম এই মানিঅর্ডার কে করলো??

কিছুদিন পর আমি আরেকটা চিঠি পেলাম। খুব খারাপ হাতের লিখা ছিল অনেক কষ্টে পড়লাম।

ওটাতে লিখা ছিলঃ
.
.
.
- ভাই, ২০০ টাকা তোমার আর ৩০০ টাকা আমার মিলিয়ে তোমার মাকে মানিঅর্ডার করে দিছি! চিন্তা করো না! মা তো সবারই এক রকমই হয় তাই না?? সে কেন না খেয়ে থাকবে?

ইতি-
তোমার পকেটমার ভাই

শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৩

যখন আমি থাকবনা -


আজ আমি আর নেই
                                 

একদিন ছিল মোর এ বাড়ী
আজ তোমরা করছ কাড়াকাড়ি
খুব কষ্ট করে জমিয়ে ছিলাম ধনরত্ন

সেজন্য গহীন বনে রেখেছ আমাই মুক্ত
তোমাদের কাছে চাওয়ার কী আছে?
তোমরা তো এখন সেজেছ রাঙ্গা সাজে
একটি মানুষ তোমাদের মাঝে না থাকলে কি জাই আসে?
হাজার মানুষ পেয়েছ তোমাদের পাশে
আমার বুকটা  ভরিয়ে গেছে ঘাসে !
তোমরা সবাই থেক আলোর পাসে
আমি তোমাদের দেখব পাথর চোখে
কোন এক সন্ধ্যা তারা হয়ে।

অন- লাইনে পথ চলা


এশিয়ান স্পেশালাইজড এডুকেশন গ্রুপ এ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আছি । কম্পিউটারের সাথে আমার পরিচয় ছোটবেলায়, সেই ২০০২ সাল থেকে। নিজের কম্পিউটার হয় ২০০৮ সালে। অনলাইনের সুন্দর জগতের সাথে পথচলা ২০১০ সাল থেকে। আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি কিন্তু স্বপ্ন পূরনের জন্য কষ্ট করতে পারি না। প্রতিদিন ভাবি আজকের দিনটা অনেক সুন্দর হবে, অনেক অনেক ভাল কাজ করব। কিন্তু অনলাইনের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে সময় বয়ে চলে-আমার আর কাজ করা হয় না। প্রতিদিন বিদ্ধস্থ মন নিয়ে ঘুমাতে যাই আর ভাবী কালকের ভোরটি হবে আজকের চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর। কিন্তু তা যে হবার নয়.....প্রচন্ড হতাশার মাঝে বসবাস করেও কেন যেন এই দেশটিকে বড্ড বেশি ভালবাসি। ভাললাগে আমার দেশের দরিদ্র, কষ্টসহিষনু খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে, অবাক হয়ে ভাবি এত না পাওয়ার মাঝেও এই মানুষগুলো কেন এত খুশি...খুব বেশি কষ্ট পাই রাস্তার দুধারে পরে থাকা দরিদ্র মানুশগুলোর মানবেতর জীবন দেখে। ইচ্ছে করে এদের জন্য কিছু করি। কিন্তু করা হয় না। সীমিত ক্ষমতার খুব সাধারন একজন এই আমি...আমার প্রতিটি দিন শুরু হয় অনলাইনে আয়ের চিন্তা দিয়ে শেষ হয় পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে। স্বপ্ন দেখি একজন ফুল টাইম ব্লগার তথা অনলাইন মার্কেটার হোব, সাচ্ছন্দে চলার মতো আয় করব অনলাইন থেকে। জানি না স্বপ্নের কতোটা কাছাকাছি যেতে পারব কিন্তু চেষ্টা করে যাব, অনেকের মতো মাঝপথে ঝড়ে পরব না...আশা করি সাফল্য আসবেই আসবে...আপনাদের সবার জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা...

আবু জার গিফারী - জাহিদ
সাউথ এশিয়ান স্পেশালাইজড এডুকেশন গ্রুপ
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
কুষ্টিয়া ।

কখনও যদি আমায় মনে পড়ে






জীবনের কোন এক প্রান্তে,আমায় যদি মনে পড়ে তোমার অজান্তে,তখন যদি দেখতে না পাও আকাশ পানে একটু তাকাও, দেখবে আমি সন্ধ্যা তারা জ্বলছি একা তোমায় ছাড়া। 

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৩

একটুকরো স্বপ্ন

কিছু স্বপ্ন স্বপ্নই রয়, কিছু হাসি মুখে রয়, কিছু কষ্ট বুকে রয়, কিছু কথা মনে রয়, কিছু দুঃখ ভোলার নই, জীবন কি এই করমই হয়।

পুস্পস্তবক অর্পণঃ


যারা শহীদ হয়েছেন, ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মা আল্লাহর কাছে পুষ্পপল্লবে ঘেরা ঘন সবুজ শ্যামল বৃক্ষলতায় পরিপূর্ণ সুরভিত জান্নাতে বিচরণ করছে। শহীদ এবং ঈমানসহ মৃত্যুবরণকারী সকল মুসলিমের আত্মাই তাদের যোগ্যতা ও আমলের তারতম্য অনুসারে পাখিরূপে জান্নাতে রয়েছে বলে বিশুদ্ধ হাদীসে উল্লেখ রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “শহীদগণের রূহ আল্লাহর সান্নিধ্যে সবুজ পাখিদের মধ্যে থাকবে এবং জান্নাতের বাগ-বাগিচা ও নহরসমূহে ভ্রমণ করবে”। [সহীহ মুসলিম]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “মুমিনের আত্মা একটি পাখি হিসেবে জান্নাতের বৃক্ষরাজিতে বিচরণ করতে থাকবে। আল্লাহ যেদিন তাকে পুনুরুত্থিত করবেন সেদিন তার দেহে আত্মাটি ফিরিয়ে দেয়া পর্যন্ত এভাবেই থাকবে”। [আহমাদ, সনদ হাসান ]

অপর একটি বর্ণনায়, “শহীদ্গণের আত্মার প্রতি আল্লাহ দৃষ্টি দিবেন এবং বলবেন তোমরা কি কিছু কামনা করছ? তাঁরা বলবেন, আমরা আর কি কামনা করব ! আমরা তো যেখানে ইচ্ছা সেখানে বিচরণ করছি”। [মুসলিম]

শহীদগণ যেখানে আল্লাহর কাছেই কিছু কামনা করছে না, সেখানে কি তারা আমাদের এসব মূল্যহীন পুষ্পস্তবকের জন্যে অপেক্ষা করছে?

শহীদ ও মৃত ব্যক্তিদের জন্যে অন্তরে বাস্তব দরদ থাকলে, তাদের ত্যাগ তীতিক্ষার বিনময়ে কিছু দেওয়ার মনোবৃত্তি থাকলে সেপথটি খুঁজতে হবে, যে পথে কিছু করলে তারা পরকালে উপকৃত হবেন। সে পথটি হল আল্লাহর অনুমোদিত পথ। শহীদ ও মৃতদের জন্যে তাদের নিয়ত করে তাদের উদ্দেশ্যে কেউ যদি দান খয়রাত করেন, তাদের উদ্দেশ্যে, তাদের পক্ষ হয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করেন তাহলে এর বিনিময়ে তারা শত কোটি পুষ্প অফুরন্ত নেয়ামত, ফুলে ফলে ভরা উদ্যানের মালিক হতে পারেন আল্লাহর কাছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি একবার সুবহানাল্লাহ বলল তার জন্য একটি খেজুর গাছ লাগানো হবে জান্নাতে”। [তিরমিযি]

অপর বর্ণনায় রয়েছে, “সে গাছটির ছায়ায় একশত বছর দ্রুতগামী ঘোড়া দৌড়ালেও তার ছায়া শেষ করা যাবে না”। বুঝা গেল, পৃথিবীতে বসে সৎ কর্মের মাধ্যমে উর্ধজগতে নিজের জন্য কিংবা কোন মৃতের জন্যে উদ্যান তৈরি করা যায়। পৃথিবীতে বসে এমন কাজটি করতে হবে যা ঊর্ধজগতের বাসিন্দাদের নিকট পৌঁছায়। তার পদ্ধতি আমরা উল্লেখ করেছি। আর এটাই হল তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের আমলগুলো তোমাদের মৃত নিকটাত্মীয় ও তোমাদের সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে তাদের কবরে পেশ করা হয়। আমলগুলো ভাল হলে তারা আনন্দিত হয় আর অন্য কিছু হলে তারা বলে হে আল্লাহ তাদেরকে তোমার আনুগত্যের আমল করার এলহাম কর”। [আবু দাউদ, তাবারানী,আহমাদ]

বুঝা গেল, শহীদ ও মৃতদেরকে তারাই আনন্দিত ও উপকৃত করে যারা তাদের জন্যে দুয়া ও দান খয়রাত করে। পুস্পস্তবক অর্পণকারীদের এই কর্মে তারা কবরে দুঃখ অনুভব করেন। আমাদের দেশে যা করা হয় এতে মনে হয় শহীদগণ শহীদ হয়ে যেন অপরাধ করে গেছেন। তাদের নামে এমন সব কর্মকাণ্ড করা হয় যা তাদের ত্যাগ তীতিক্ষার প্রতি উপহাসের শামিল।

ইট, সিমেন্ট,রড দিয়ে কিছু একটা বানিয়ে সেখানে কিছু ফুল রেখে আসলে তা কি শহীদগণ পেলেন নাকি ঐ ইট, সিমেন্ট, রডগুলোকেই দেয়া হল সেই ফুলের সওগাত?

কাদের থেকে শিখেছি এই পুস্পস্তবক অর্পণ? মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত দীনে পুস্পস্তবক অর্পণের কোন বিধান নেই। মৃতদের জন্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ খ্রিস্টান জাতির সংস্কৃতি। হিন্দু ধর্মেও মূর্তিকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শুধু পুস্পস্তবক অর্পণ নয় মিষ্টি, সন্দেশ, দুধ কলার স্তবকও অর্পণ করা হয় দেবভোগ হিসেবে। আল কুর’আনে ইবরাহীম আলাইহি সালামের ঘটনা বর্ণণা প্রসংগে বলা হয়েছে-

“অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন? তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?” [সূরা সাফফাত ৯১-৯২]

মূলত পুস্পস্তবক অর্পণ মূর্তিপূজার অংশ, এটি একটি ইবাদত যা মূর্তিকে দেয়া হয়। কাজেই মুসলিমদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহনের কোন সুযোগ নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুসরণ করে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়”। [আবু দাউদ, সনদ উত্তম]
 

সৌজন্যঃ মোহাঃ আবু জার গিফারী- জাহিদ
সাউথ এশিয়ান স্পেশালাইজ এডুকেশন গ্রুপ কুষ্টিয়া।