Facebook

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

খোকা কি আসবে?


“কুমড়ো ফুলে ফুলেনুয়ে পরেছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায়ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি,
খোকা তুই কবে আসবি ?
কবে ছুটি?”
চিঠিটা তার পকেটে ছিল,ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।

“মাগো, ওরা বলে সবার কথা কেড়ে নেবে।
তোমার কোলে শুয়ে,গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা,তাই কি হয়?
তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।
তোমার জন্যে কথার ঝুরি নিয়ে
তবেই না বাড়ি ফিরবো।

ল‍হ্মী মা,রাগ ক’রো না,
মাত্রতো আর ক’টা দিন।”
“পাগল ছেলে,”মা পড়ে আর হাসে,
“তোর ওপরে রাগ ক’রতে পারি !”
নারিকেলের চিড়ে কোটে,উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে,
এটা-সেটা,আর কত কী !
তার খোকা যে বাড়ি ফিরবে 
ক্লান্ত খোকা।
কুমড়ো ফুল শুকিয়ে গেছে,
ঝ'রে পড়েছে ডাঁটা,পুঁই লতাটা নেতানো
“খোকা এলি ?”
ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠানে উঠানে যেখানে খোকার শব
শকুনীরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন
মা’র চোখে চৈত্রের রোদ,পুরিয়ে দেয় শকুনীদের।
তারপর
দাওয়ায় ব’সে মা আবার ধান ভানে,
বিন্নি ধানের খই ভাজে,
খোকা তার কখন আসে কখন আসে!

এখন
মা’র চোখে শিশির-ভোর
স্নেহের রোদে ভিটে ভ’রেছে।

শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৩

এক পকেটমার এর গল্প

                     বাস থেকে নেমে পকেটে হাত দিয়ে সাথে সাথে শক খেলাম ..


আমার পকেটমার হয়ে গেছে.!! পকেটে ছিলই বা কি? সব মিলিয়ে ২০০ টাকা!! আর
একটা চিঠি যা আমি মাকে লিখেছিলাম যে আমার চাকরি চলে গেছে এখন টাকা পাঠাতে পারবনা। সেই পোস্টকার্ড নিয়ে ঘুরছিলাম কিন্তু কেন যেন পাঠাতে ইচ্ছা করছিলোনা!!

এমনিতে তো ২০০ টাকা খুব বেশি টাকা না কিন্তু যার চাকরি চলে গেছে তার কাছে একটু বেশিই!!

কিছুদিন পর মার একটা চিঠি পেলাম!! নিশ্চয় টাকা পাঠানোর জন্য হবে!! কিন্তু চিঠি পড়ে আমি একটা ধাক্কা খেলাম মা লিখেছে "বাবা তুই যে ৫০০ টাকার মানিঅর্ডার পাঠাইছিস সেটা পাইছি!!" আমি চিন্তা করতে লাগলাম এই মানিঅর্ডার কে করলো??

কিছুদিন পর আমি আরেকটা চিঠি পেলাম। খুব খারাপ হাতের লিখা ছিল অনেক কষ্টে পড়লাম।

ওটাতে লিখা ছিলঃ
.
.
.
- ভাই, ২০০ টাকা তোমার আর ৩০০ টাকা আমার মিলিয়ে তোমার মাকে মানিঅর্ডার করে দিছি! চিন্তা করো না! মা তো সবারই এক রকমই হয় তাই না?? সে কেন না খেয়ে থাকবে?

ইতি-
তোমার পকেটমার ভাই