আজ আমার বাবার ৪র্থতম মৃত্যু বার্ষিকী,২০১২ সালের ঠিক এমন একটি দিনে
সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে বাবাকে হারাতে হয়েছে, রাজধানীর বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান, যেখানে একমাত্র
আমি আর মা উপস্থিত ছিলাম, সেদিনেই বুঝেছি বাবাকে হারানোর শোকটা কতটা কষ্টের
। এক দিকে বাবা চলে যাচ্ছে আমার সামনে দিয়ে, অন্য দিকে মাকে কারা যেন নিয়ে
যাচ্ছে, আমি বাবার মাথার কাছে দাড়িয়ে ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার করছি,
খুব কাছ থেকে দেখছি বাবার চলে যাওয়াটা, আমি পাথর হয়েগেছি অন্যদিকে মাকে
ডেকে বলছি মা, বাবার কিছু হয়নি বাবা ঠিক আছে, তুমি কেদনা ! বিশ্বাস হচ্ছিল
না আমার। সেই সময়টা মনে পড়লে দমবন্ধ হয়ে আসে । বাবাকে হারিয়ে আমি পাথর হয়ে
গেছিলাম ।
আজ বাবার সাথে পথ চলার সময় গুলকে অনুভব করছি, চলার জীবনে
বাবার ছায়াতেই বড় হয়েছি, বাবার ভালোবাসা, বাবার স্নেহ, বাবার আদর আজও আমার
স্মৃতিতে সতেজ হয়ে ভাসে। আমার বাবা ছিলেন আমার আর্দশ। আজ বাবাকে আমার খুব
প্রয়োজন ছিলো বাবার সাথে আমার অনেক কথা বলার ছিলো আমি বলতে পারিনি তাই
মনের লুকানো কথাগুলো আজও কারো সাথে ভাগাবাগি করতে পারিনি। বাবার আর্দশ,
বাবার সততা, বাবার নৈতিকতা আমার কাছে অতুলনীয়। যাদের বাবা আছে তারা জানেনা
বাবার ছায়াটা কতটা তার সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । বাবাহীন পৃথিবীটা বেশ
অদ্ভুত ! যাদের বাবা নেই তারা কেবল জানেন বাবার অনুপুস্থিতিটা কেমন । এক
সময় বাবার বুদ্ধিছাড়া কোন কাজেই সফল হওয়া যেতো না, আর আজ বাবাকে ছাড়া
চলতে হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত । বুদ্ধিহীন অবস্থায় চলতে হচ্ছে এই অচেনা জীবন
শহরতলীতে। কিন্তু বাবার সেই স্মৃতি বাবার সেই উপদেশমূলক কথাগুলো আজও আমার
অন্তরকে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যায়! যার আদর্শ আমাকে মানুষ হতে সাহায্য
করছে। বেশ কিছু আশা,স্বপ্ন ,কাজ অপূর্ণ থেকে গেল আমার, সবাই আমার বাবার
জন্য দোয়া করবেন ।
- আবু জাহিদ মোঃ আবু জার গিফারী
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ - ঢাকা