Facebook

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

শিউলী আপুর সাথে প্রেম

রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে, আর সাথে হালকা বাতাস, আমার মাথার পাশের জানালাটি সকাল পর্যন্ত খোলাই ছিল তায় ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করতে দেরি হয়নি হেমান্তের । আমার লাগানো শিউলী গাছটি বেশ বড় হয়েগেছে । তায় তার ঝরে পড়া ফুলের আর মিষ্টি সুবাসে আজো আমাকে বিমুহিত করেছে । সুরুমিঠু পথের পাশে দূর্বাঘাস । ঘাসের সারা শরীর গুলো সকাল পর্যন্ত ছিল শিশির সিক্ত । তায় শিশির সিক্ত ঘাসে খালি পায়েও শিশির ছুয়েছি আমি দুর্বার কমল স্পর্শে । প্রস্ফুটিত ঝরে পড়া ফুল দেখে প্রানের সঞ্চয় ঘোটেছে সবার আগে- সাথে দোয়েল পাখির নিখুঁত সুরের শিল্পায়নেও মূর্ছনা জেগেছে আমার । যানি এখনো কুষ্টিয়া শহর বাসি গভির ঘুমে আচ্ছন্ন । ঘাসের উপরে শিউলী আপু অধির চোখে আমায় ডাকছে, আমি ঝুড়ি নিয়ে হাটছি শিউলী আপুর দিকে, সত্যিই আজ আমি শিউলী আপুর প্রেমে পড়ে গেছি - খুব সকালে । - জাহিদ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 
ইমেইল: jahid1300@gmail.com

সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬

মায়ের বকুনি

২ ফুটা চোখের জলে মিশে থাকত হাজারো অভিমান, মায়ের বকুনিতে লুকিয়ে পড়তাম দেয়ালের ঐ পাড়টাতে যেখানে সহজে কারো চোখ পড়ত না । অপেক্ষা শুধু রাত আশা পর্যন্ত মা কখন আমায় খুজবে, ডাকবে আদর মাখা তার মুখ দিয়ে, খোকা কোথায় গেলি? আর এই আমিটা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে আমার অস্তিত্তটাকে প্রকাশ করব । বয়স বেশ ছোট ৬-৭ । কখন কবে যেন এই আমিটা ধীরে ধীরে ২৫ বছরের কৌঠাই পা দিয়েছি, বুঝিনি । বয়স বেড়েছে অভিমানের পাল্লাটাও ভারি হয়ে গেছে, তবে এখুন এই অভিমানের কোন মূল্যই নেই মায়ের কাছে, কারন শুধু বয়স। মায়ের হৃদয়টা আগের মত ভিজাতে পারিনা, বুকের মাঝে হাজারো কষ্ট থাকার পরেও মুখফাটিয়ে কাঁদতে পারিনা, এখনো মায়ের উপরে অভিমান করি তবে সেই রকম ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে পারিনা, বয়স বাড়ার কারনে আমাকে মা, থেকে আলাদা করে দিয়েছে, আলাদা করেছে দূরত্ব । সেই ছোটতে রাতে ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে ঘুম ভেঙ্গে যেত আর মায়ের কোলের মধ্য লুকিয়ে পড়তাম । আজো সেই রকমের অপ্রীতিকর স্বপ্ন দেখি তবে মায়ের সে কোল খুজে পাইনা ।ছোটতে আমার পছন্দের জিনিস গুলো মা বেশ ভাল করে যত্নে রেখে দিতেন । আর আমাকে আ,আ,ক,খ একটা দুইটা করে উচ্চারন, কথা শিখাতেন অথচ আজ আমি এত সুন্দর করে কোন কথা ব্যক্ত করলে মা’ আমার কথার পৃষ্ঠকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলে, আমি আহত হয়ে যায়, এই আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই, এই আমি আমার আমিটাকে হারিয়ে ফেলেছি... কবে? কোথায় কখন কবে কোন তারা ঝরে গেল আকাশ কি মনে রাখে?

এক পশলা বৃষ্টি

গ্রীষ্মের মেঘ মেঘ আকাশ অনেক দিন দেখিনি এই খোলা চোখে,শেষ বিকেলে ঝকঝকে নীল আকাশে সাদা মেঘগুলো ভেসে বেড়ানো দেখি প্রতি দিন, আজো শেষ বিকেলে আগ পর্যন্ত সারাদিন উজ্জ্বল রোদ দেখেছি, সাথে ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা। ক্লান্ত ময় জীবনে তপ্ত দুপুর পেরিয়ে বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিল আজ। এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। শৈশবের সেই অনুভূতিই যেন ফিরে পেয়েছি । শেষ বিকেলে এক পশলা বৃষ্টির পর চারপাশটা কেমন থমথমে করে দিল- শুরু হল ঝর ঝর বৃষ্টি শৈশবের সেই অনুভূতিই যেন ফিরে এল -

আজ আমার বাবার ৪র্থতম মৃত্যু বার্ষিকী


আজ আমার বাবার ৪র্থতম মৃত্যু বার্ষিকী,২০১২ সালের ঠিক এমন একটি দিনে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে বাবাকে হারাতে হয়েছে, রাজধানীর বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান, যেখানে একমাত্র আমি আর মা উপস্থিত ছিলাম, সেদিনেই বুঝেছি বাবাকে হারানোর শোকটা কতটা কষ্টের । এক দিকে বাবা চলে যাচ্ছে আমার সামনে দিয়ে, অন্য দিকে মাকে কারা যেন নিয়ে যাচ্ছে, আমি বাবার মাথার কাছে দাড়িয়ে ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার করছি, খুব কাছ থেকে দেখছি বাবার চলে যাওয়াটা, আমি পাথর হয়েগেছি অন্যদিকে মাকে ডেকে বলছি মা, বাবার কিছু হয়নি বাবা ঠিক আছে, তুমি কেদনা ! বিশ্বাস হচ্ছিল না আমার। সেই সময়টা মনে পড়লে দমবন্ধ হয়ে আসে । বাবাকে হারিয়ে আমি পাথর হয়ে গেছিলাম ।
আজ বাবার সাথে পথ চলার সময় গুলকে অনুভব করছি, চলার জীবনে বাবার ছায়াতেই বড় হয়েছি, বাবার ভালোবাসা, বাবার স্নেহ, বাবার আদর আজও আমার স্মৃতিতে সতেজ হয়ে ভাসে। আমার বাবা ছিলেন আমার আর্দশ। আজ বাবাকে আমার খুব প্রয়োজন ছিলো বাবার সাথে আমার অনেক কথা বলার ছিলো আমি বলতে পারিনি তাই মনের লুকানো কথাগুলো আজও কারো সাথে ভাগাবাগি করতে পারিনি। বাবার আর্দশ, বাবার সততা, বাবার নৈতিকতা আমার কাছে অতুলনীয়। যাদের বাবা আছে তারা জানেনা বাবার ছায়াটা কতটা তার সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । বাবাহীন পৃথিবীটা বেশ অদ্ভুত ! যাদের বাবা নেই তারা কেবল জানেন বাবার অনুপুস্থিতিটা কেমন । এক সময় বাবার বুদ্ধিছাড়া কোন কাজেই সফল হওয়া যেতো না, আর আজ বাবাকে ছাড়া চলতে হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত । বুদ্ধিহীন অবস্থায় চলতে হচ্ছে এই অচেনা জীবন শহরতলীতে। কিন্তু বাবার সেই স্মৃতি বাবার সেই উপদেশমূলক কথাগুলো আজও আমার অন্তরকে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যায়! যার আদর্শ আমাকে মানুষ হতে সাহায্য করছে। বেশ কিছু আশা,স্বপ্ন ,কাজ অপূর্ণ থেকে গেল আমার, সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন ।


- আবু জাহিদ মোঃ আবু জার গিফারী
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি 
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ - ঢাকা

সেই আমি আজ কেন এত অচেনা

জীবনটা কেমন যেন জলহীন নদীর মত বেয়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে মায়া নেই, ভালোবাসা নেই, আনন্দ নেই, সর্বোপরি ব্যাস্ততায় (কিছু দিয়ে কিছু পাওয়া) একি নিয়ম? নিত্য কাছের মানুষ গুলোর পরিবর্তন অপেক্ষা করা আর তাদের আসতে আসতে দূরে চলে যাওয়া, ভাবি আজ, ভারি বর্ষা মুখুর দিনের মত এক দুর্যোগ ও সংকট ময় দিনেও আমার জীবন থেমে থাকেনা,ঠিকয়, রোজই হাটতে হয় পথ ও পথের সন্ধানে । পথ এগিয়ে দেবার ছায়াটকু কবেই মাথার উপর থেকে সরে গেছে, এখন আর ক্লান্ত আমাকে গ্রাস করতে পারেনা, অনুভতিও আমাকে থামাতে পারেনা । একি বিস্ময় কর এই জীবন...।